Bermuda triangle - Real Truth Research

Breaking

Home Top Ad

Feb 5, 2018

Bermuda triangle

Bermuda triangle 

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্য:

পৃথিবীর বুকে অজানা রহস্য ঘেরা যত স্থানের নাম সবার কাছেই জানা তার মধ্যে অন্যতম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। আজ পর্যন্ত যত গবেষণা হয়েছে কোনো কিছুতেই এ রহস্য উদঘাটনের কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। মানুষ সর্বদা জ্ঞানপিপাসু তাই অজানাকে জানা আর নতুন কিছু প্রমাণের যে স্পৃহা তা সর্বদা বিজ্ঞানীদের মধ্যে পরিলক্ষিত হলেও তরুণ মহলে আমাদের কাছে তা সর্বদাই আকর্ষণীয় একটা বিষয় হয়ে থাকে।
প্রথমেই বলে আসি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি বারমুডা ট্রায়াঙ্গল একটি ত্রিভুজাকৃতি জায়গা বিশেষ। যার এক পাশে রয়েছে ফ্লোরিডা, অন্যপাশে বারমুডা আর অপরপাশে আছে সান জুয়ান, পুয়ারতো রিকো। পৃথিবীর অন্য যতো রহস্যেঘেরা স্থান তার থেকে এই জায়গাকে গুরুত্ব দেবার মূল কারণ হল ভয়াল পরিবেশে নৌযান ও আকাশযানের বহু যাত্রীর অকাল প্রাণহানি। এ এমন এক জায়গা যেখানে একবার প্রবেশ করলে সেখান থেকে বের হবার বা কোনো তথ্য বের করে আনার কোনো অবকাশ নাই। অনেকে আবার এই জায়গাকে ডেভিল ট্রায়াঙ্গল ও ট্রাপিজিয়াম আকৃতির বলে থাকেন।
একটি ধারণা সবার মধ্যে প্রচলিত আছে যে, বহিঃবিশ্বের কোনো অজানা প্রাণীর বাস সেখানে, যারা সর্বদা বসে আছে আশেপাশের সবকিছু গ্রাস করে নেবার জন্য। ধারণামতে ভিনগ্রহের মানুষেরা পৃথিবীতে এসে এ স্থানটিকে তাদের ঘাঁটি বানিয়ে নেয় এবং এ অঞ্চলের ভিতরে প্রবেশকারী সকল কিছুর চিহ্ন তারা গায়েব করে দেয় যাতে কেউ তাদের ব্যাপারে কিছুই জানতে না পারে। মজার বিষয় হিসেবে এই জায়গাকে তুলনা করা যেতে পারে ব্ল্যাকহোলের সাথে। যেখানে একবার কেউ প্রবেশ করলে বের হওয়া তো দূরের কথা তার কোনো অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায় না।সর্বপ্রথম এই জায়গার আবিষ্কার করেন আমেরিকার উদ্ভাবক কলম্বাস। তার বর্ণনামতে, তার জাহাজের নাবিকেরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল পাড়ি দেবার সময় দেখেছিল আলোর নাচানাচি আর আকাশে ধোঁয়া। এছাড়া কলম্বাস আরো লিখেছেন যে এই জায়গায় এসে তার কম্পাসও ভুল নির্দেশনা দিচ্ছিলো। আজ পর্যন্ত অসংখ্য জাহাজ এবং উড়োজাহাজ মিলিয়ে গেছে এই ট্রায়াঙ্গলে যার কোনো চিহ্ন আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হয় এ পর্যন্ত ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ ও ২০ টি বিমান হারিয়ে গেছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে।
Rig Veda reveals Bermuda triangle mystery_1454398516e11
সর্বপ্রথম ৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৫ সালে আমেরিকার পাঁচটি যুদ্ধবিমান ১৪ জনসহ মিলিয়ে যায় এই ট্রায়াঙ্গলে। সর্বশেষ তথ্যমতে খবর এসেছিল বিমানগুলো যখন এই অঞ্চলের খুব কাছাকাছি এসে পরে তারা বলছিলো তাদের সামনে খুবই ধোঁয়া, তারা কিছুই দেখতে পাচ্ছেনা এবং তাদের শেষ কথা ছিলো ’আমাদের বাঁচাও’। এ ঘটনার পর একদল অনুসন্ধান দল সেখানে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাদের আজ পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া ১৯৪৭, ১৯৪৮, ১৯৪৯, ১৯৬২, ১৯৬৫, ২০০৫, ২০০৭ এবং ২০১৭ সালে ঘটে আরও বিমান দুর্ঘটনা। ১৮০০ সালে ঘটে প্রথম জাহাজ দুর্ঘটনা যেখানে প্রাণ হারায় ৯০ জনের মতো যাত্রী। এছাড়া ১৮১৪, ১৮২৪, ১৮৪০, ১৯১৮, ১৯২১, ১৯২৫, ১৯৪১, ১৯৬৩ এবং ২০১৫ সালে অসংখ্য প্রানহানি ঘটে এই ট্রায়াঙ্গলে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, আজ অব্দি প্রায় ১০০০ জনের মতো বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর মাঝে প্রান হারিয়েছেন, যা গড়ে প্রতি বছরে ১০ জনের সমান।সর্বপ্রথম এই ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে একটি বই রচনা করেন লেখক ভিনসেন্ট এইচ গাদিস ১৯৬৫ সালে। বইটির নাম Invisible Horizon: True Mysteries of the Sea (1965)। এ বইয়ে তিনি নয়টি রহস্যে ঘেরা ঘটনার কথা বর্ণনা করেছেন। আজ পর্যন্ত বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যকে ঘিরে দুইটি ইংরেজি চলচিত্র নির্মাণ হয়েছে। একটি হলো Lost in the Bermuda Triangle (1998) ও আরেকটি হলো Bermuda Tentacles (2014)।
যদিও আজ অব্দি অনেক গবেষণা হয়েছে এই ট্রায়াঙ্গল সম্পর্কে, তারপরও সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানীদের থেকে উঠে এসেছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর আসল রহস্য। তারা বর্ণনা করেছেন যে সমুদ্রের এ জায়গায় ষড়যন্ত্র মেঘ (Hexagonal Cloud) এর কারণে এক বায়ু গোলার সৃষ্টি হয় যার কারনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়, যার কারনে আশেপাশের সবকিছু এই বিশাল ঢেউ সহ্য করতে না পেরে মিলিয়ে যায় আটলান্টিক সমুদ্রের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল এর অতল গহ্বরে। এই গবেষণাটিকেই আজ পর্যন্ত সমস্ত গবেষণার ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় সামনে নতুন কিছু কংক্রিট গবেষণার মাধ্যমে বের হয়ে আসবে নতুন আরো অজানা রহস্য, যার ফলশ্রুতিতে বাঁচানো যাবে অসংখ্য নিরীহ প্রাণ।

No comments:

Post a Comment


Tarot Card History

How to improve your Brain

How to Beceome a Body Builder

Healthy Life

Bitcoin

Popular Posts