A Unsolve History
ঘটনা টা ঘটেছিল সিংগাপুরে ২০১১ সালে, যেহেতু তখন আমি কর্মরত ছিলাম একটা পেশার কারনে সিংগাপুরে, সেহেতু ঘটনাটা ঘটেছিল সিংগাপুরে, ২০১১ সালে, আমি কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম, তখন একজন বাচ্চা আমাকে হাতে একটা লিফলেট দিল, আমি আগ্রহের সাথে লিফলেট টা নিলাম তাতে লেখা to- let এবং একটা ফোন নাম্বার, আমার বাসার ও দরকার ছিলো, তখন আমি লিফলেট এ দেওয়া নাম্বারে ফোন দিলাম, ফোন ধরলো একজন মহিলা, উনাকে লিফলেট এর কথা বলার পরে উনি রবিবারে ১০ টা থেকে ৩ টার মধ্যে দেখা করতে বলল, আমি রবিবারে যথা সময়ে ঐ বাড়ির কলিং বেল এ টিপ দেওয়ার পর ঐ বাচ্চাটা দরজা খুলে দিলো, এবং বৃদ্ধ চাইনিজ এক আন্টি আমাকে বাসা টা ঘুড়ে দেখালেন, এক রুম ভাড়া দিবে, সাথে এটাস্টেট বাথরুম ও কিচেন, এবং ভাড়া ৫৫০$, এবং সবচেয়ে বড় কথা বাসাটা আমার কাজের জায়গা থেকে অনেক কাছে, হেটে আসতে ১০ মিঃ মত লাগবে, বাসাটা হলো কিটেনার রোড এর ১০১/ডি। তাই সহজে রাজি হয়ে গেলাম, এবং বলে রাখা ভালো, যে কোন বাসা ভাড়া নিতে গেলে ৩ মাসের অগ্রিম দিতে হয়, আমি অগ্রিম দিয়ে আগামী কাল মানে, মাসের ২৩ তারিখে উঠতে চাইলাম, তারা রাজি হয়ে গেলো, আমি যথাসময়ে আমার যাবতীয় জিনিস পএ নিয়ে, ঔই বাড়িতে গেলাম গিয়ে দেখি বাসা বন্ধ, তারপর, তাদের দেওয়া লিফলেট এর নাম্বারে কল দিলাম, ফোন এ্যাংগেজ বলছে, বারবার ট্রাই করার পর ও দেখলাম ফোন এ্যাংগেজ, তখন খেয়াল করলাম, দড়জায় একটা চিরকুট রাখা আছে, তাতে লেখা 22133, এটা দরজার পাসওয়ার্ড এবং, লেখা sorry to say, we are go to the tour, you can live here, now, thanks , এটা লেখা দেখে আমি আমার রুমে ডুকলাম, তারপর রুম গুছিয়ে শুয়ে পড়লাম, তারপর বিকালে গেলাম বাজার করতে, বাজার শেষ করে রুমে ডুকে রান্না করলাম, তারপর ফ্রেশ হয়ে যখন খেতে বসবো তখন দেখি, প্রেসার কুকারে কোন তরকারি নাই, কিন্তু প্রেসার কুকার টার ঢাকনা বন্ধ করা ছিলো, তখন ভাবলাম, হয়তো কোন ভুল হচ্ছে, সারাবাড়ি ঘুড়ে দেখলাম কেউ নেই আমি একা, কোন বিড়ালও নাই তখন একটু অবাক ই হলাম, তারপর খেয়াল করলাম কে জানি জানালা দিয়ে উকি দিচ্ছে, তখন গিয়ে দেখি, আমার পিছন সাইড টা যেমন দেখতে, তেমনি কেউ একজন দৌড়ে গেল আমাকে দেখে, তখন কোন ব্যাপার না মনে করে, হাল্কা রুটি ও জুস খেয়ে শুয়ে পড়লাম, তারপর হঠাৎ ঘুম ভেংগে যায় তখন লাইট অন করে দেখি, আয়নাতে আমার পাসে আমি শুয়ে আছি, অথচ বিছানা টা একেবারে ই খালি, মনের ভুল মনে করে আবার শুয়ে পড়লাম তবে লাইট অন রেখে ই , একটু পরে কারো শরীরের স্পর্শে আমার ঘুম ভেংগে গেলো, তখন লাইট অন করে রাখার কারনে দেখলাম আমার পাশে আমি ই শুয়ে আছি, তখন একটা চিৎকার দেওয়ার পর কিচ্ছু মনে নাই, নিজেকে আবিষ্কার করলাম Albania hospitale, তারপর যেটা জানতে পারলাম, আমার ফোন ২ দিন রিসিভ না হওয়ার কারনে আমার বস পুলিশ কে ইনফর্ম করে, তখন পুলিশ আমার কম্পানির কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে বাসায় যায় এবং দড়জা ভেঙে আমাকে বের করে হসপিটালে ভর্তি করে, এবং পরে জানতে পারলাম, ঔ বৃদ্ধ ও বাচ্চাটা আরো ১০ বছর আগে মারা গেছে, তবে তারা মারা যাওয়ার ৪ দিন পর, পচা গন্ধ পাওয়ার কারনে, প্রতিবেশীরা পুলিশ কে নোটিশ করলে পুলিশ এসে দড়জা ভেংঙে মৃত অবস্থায় পায়, এবং এর পর থেকে এ বাড়িটা মানে ফ্লাট টা এভাবে দড়জা বন্ধ অবস্থা্তে ই আছে, তবে আমি কি করে ডুকলাম সেটা সিকিউরিটি নাকি জানে না, সিকিউরিটি নাকি আমাকে দেখেও নাই!আমি মানি ব্যাগ খুলে দেখি, to - let এর কাগজ টা আছে তবে কিছু লেখা নাই এবং দড়জায় যেই চিরকুট টা ছিলো সেটাতে ও কোন লেখা নাই, তারপর আর সাহস নিয়ে ঐ বাসায় যাই নাই, নিজের জিনিসপত্র আনতে!!!
No comments:
Post a Comment