A Haunted Story
এই ঘটনাটি সিংগাপুর প্রবাসী একজন engineer সাথে ঘটে যাওয়া।তিনি একজন শিক্ষিত মানুষ,তার নাম হচ্ছে Morshed jame...। বিজ্ঞান ভূত বিশ্বাস করে না।
আমি যেই ঘটনাটা আপনাদের কে বলতে চাচ্ছি সেটা ২০১২ সালে আমার নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা, ঘটনা টা ঘটেছিল সিংগাপুরে, হলেন্ডগ্রোব ড্রাইভ রোড এর ২৯/এ নাম্বার এর বাসায়, যেহেতু আমি একজন ইলেকট্রিক ইন্জিনিয়ার সেহেতু, আমার কর্মক্ষেএ টা ছিলো, ওই বাড়ির পাশের একটা নতুন কন্সট্রাকসন প্রজেক্টে, আমার প্রতিদিন বাস বা ট্রেন ধরে সকাল ৮.০০ মধ্যে কাজে যোগদান করতে হত, আর একটু বলে রাখি, আমি ঘুম প্রিয় মানুষ, তাই বেশি ঘুমানোর জন্য কাজের সাইডে ই কন্ট্রেনারে থাকার চিন্তা করলাম, আমার সেফটি অফিসারের অনুমতি নিয়ে, তারপর শুরু হল ঘটনাপরম্পরা প্রতিক্রিয়া, প্রথম দিন রাত আনুমানি ২ টার দিকে আমার ঘুম ভেংগে যায় পিয়ানোর বিকট এবং উদ্ভট শব্দে, এবং মরিচ পোড়ার গন্দে, তারপর উঠে দেখি আমার পাশের বাসা মানে ২৯/এ বাসাটার মধ্যে থেকে এ শব্দ আসছে, তো আমি আমার মত এটা একটা নরমাল ঘটনা ভেবে ঘুমাতে গেলাম কিন্তু পিয়ানোর শব্দে ঘুমাতে পারলাম না, তারপরেের দিন একই ঘটনা ঘটল, এভাবে ৩/৪ দিন যাওয়ার পরে আমার বস মানে সিনিয়র ইন্জিনিয়ারের সাথে ঘটনা শেয়ার করলাম, উনি এক গাল হেসে বলল, বোকা এ বাড়িতে ১৯১৪ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় র পর থেকে পরিত্যক্ত, সো তোমার মাথা ঠিক নাই ডাঃ দেখাও বলে চলে গেলেন, ব্যাপার টা এখানেই শেষ হলে ভালো হতো আমার জন্য, কিন্তু এর পরের দিন আমি রাতে কন্টেইনার থেকে বের হই সিগারেট খাওয়ার জন্য তখন আমি আর সিকিউরিটি গার্ড ছাড়া কেউ ছিলো না, তখন রাত কয়টা বাজে আমার মনে নাই, তারপর আমি একা একা হাটছিলাম আর সিগারেট টানছিলাম তখন একজন সিংগাপুরিয়ান চাইনিজ এসে আমার পাশে এসে বলল বাংলা তে সিগারেট দে, আমি বেপার টা স্বাভাবিক মনে করে তাকে সিগারেট দিতে যা্বো তখন দেখলাম আমি তো একা আর আমার পাসে কেউ নাই, তখন মনে পড়ল চাইনিজ বৃদ্ধ টা কি করে বাংলা বলবে, তখন একদৌড়ে সিকিউরিটির কাছে গেলাম, উনি বলল রাত ১০.২০ উনি মেইন গেইট বন্ধ করছে, আর মেইন গেইট বন্ধ থাকলে তো কারো ডুকা সম্ভব না, তাহহলে আমি কাকে দেখলাম, তারপর সিকিউরিটি যা বললো তাতে তো আমার চখ্খু কপালে, এই সিকিউরিটির আজ ৬ মাস যাবত রাতে পাহারার দায়েত্বে থাকেন এবং আমার মত পিয়ানোর শব্দ এবং মরিচ পোড়ার ঝাঝালো গন্ধ পান, তবে আমি আসার পর থেকে সে আমাকে দেখেই নাকি বুঝতে পেরেছিলো, যে আমি ও ক্রমতালিকা এসব দেখি, তারপর সিকিউরিটি আর আমি মিলে সাহস নিয়ে ঔই বাসায় ডুকি তখন রাত ৩ টার মত বাজে, আর বলে রাখা ভালো ঐই বাড়িতে ১৯৫০ এর দিকে সরকার সিলগালা করে দেয় এবং বড় তালা ঝুলিয়ে দেয়, তাই আমরা পিছনের দেওয়াল টপকে ডুকি, তখন ডুকে দেখি, ওই বৃদ্ধ চাইনিজ টা বসে বসে পিয়ানো বাজাচ্ছে, তাকে দেখে হাই বলার পর উনি সিকিউরিটির দিকে একনজরে তাকিয়ে ছিল তখন দেখি সিকিউরিটি ভয়ে অঞ্জান, আমি পাশে ঘামে ভিজে গেছি, তখন চাইজিন বৃদ্ধ টা আমাকে একটা চায়ের পেয়্লা হাতে দেন, তাতে দেখি এক কাপ তাজা রক্ত এটা দেখে আমি ভয়ে দৌড় দেই এবং দৌড় দিতে গিয়ে পড়ে যাই, তারপর আমার যখন ঞ্জান ফিরে তখন আমি হসপিটালে, তারপর সুস্থ হয়ে আর কোনদিন ঐ কন্সট্রাকসন প্রজেক্টে যাওয়া হয় না, দিবেমো আমার বস আমাকে যা বললো, ২য় বিশ্বে যুদ্ধর পর ওই চাইনিজ আংকেল শহীদ হন এবং তার পরিবারের সবাই কে এ বাড়িতে খুন করা হয়, তারপর থেকে এ ঘটনা সবসময় ই ঘটতে থাকে, তাই সিংগাপুর সরকার এটাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে, আর এরকম অনেক ঘটনা আমার সাথে ঘটার কারনে আমি সিংগাপুরে থেকে ২০১৫ সালে একে বারেই বাংলাদেশে চলে আসি কারন এরকম পেরানরমাল ঘটনা আমার সামনে চলে আসে বারবার!!!
No comments:
Post a Comment